জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে চিরবিদায নিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা. ব্রিটিশ শাসিত ভারতের পেশওয়ারের (বর্তমান পাকিস্তান) খাওয়ানি বাজার অঞ্চলে আয়েশা বেগম এবং লালা গুলাম সারওয়ার খানের সংসারে জন্ম মহম্মদ ইউসুফ খানের। জন্ম পেশওয়ারে হলেও, ইউসুফ খানের পড়াশোনা নাসিকের বারনেস স্কুলে। রাজ কাপুর, দেব আনন্দের সমসাময়িক হয়েও নিজের জন্যে এক অনন্য রাজ্যপাট তৈরি করেছিলেন দিলীপ কুমার। তাঁর অভিনয় কোনও বাধাধরা গতে আটকে পড়েনি। দিলীপ কুমারকেই প্রথম খান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যিনি অভিনয় জগতকে মেথড অ্যাকটিংয়ের সঙ্গে পরিচিতি করান। ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন দিলীপ কুমার। পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ কেরিয়ারে ৬৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন দিলীপ কুমার। পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ কেরিয়ারে ৬৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম ‘আন্দাজ’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘দেবদাস’। ১৯৭৬ সালে সেলুলয়েড থেকে পাঁচ বছরের বিরতি নেন দিলীপ কুমার। ১৯৮১ সালে ‘ক্রান্তি’ সিনেমার হাত ধরে কামব্যাক করেন তিনি।
সিনেমা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য দিলীপ কুমারকে ট্র্যাজেডি কিং-এর খেতাব দিয়েছিলেন। জুগনু, দিদার কিংবা দেবদাসের মতো যুগান্তকারি ছবিগুলিতে সর্বহারা প্রেমিকের চরিত্রে মানুষের মনে অনুভূতি তৈরি করতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন. ৬৫টিরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত আইকনিক ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দেবদাস’, ‘নয়া দওর’, ‘মুঘল-এ-আজম’, হাটে বাজারে, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘ক্রান্তি’ এবং ‘কর্মা’। তাঁকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ ছবিতে। বাংলা সিনেমা সাগিনা মাহাতোতে অভিনয় করেছিলেন নাম ভূমিকায়.
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ড তাঁরই রয়েছে। মোট ৮ বার ফিল্মফেয়ারের তরফে তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার দেওয়া হয়। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯৪), পদ্মভূষণ (১৯৯১), পদ্মবিভূষণ (২০১৫) এবং নিশান-ই-ইমতিয়াজ (১৯৯৮)।
অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দীর্ঘ দিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ। মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। গত ৩০ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ সময়ে চিরসাথী স্ত্রী সায়রা বানু পাশে ছিলেন. তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই আবাসন হল ভারতীয় সিনেমার সোনালি অধ্যায়ের।