মালদাঃ-ফের নাবালিকা ধর্ষণ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযুক্তকে ধরে গণধোলাই গ্রামবাসীদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-বৃষ্টি। মাথা ফাটল এক এ-এস-আই পুলিশ
অফিসারের। আহত আরও এক সিভিক পুলিশ।
শুক্রবার রাতভোর তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার চন্ডিপুর গ্রামে ১০ বছরের এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এক ষাট বছরের বৃদ্ধ নজরুল ইসলাম ওরফে ভোলার বিরুদ্ধে। কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।অভিযোগের ভিত্তিতে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায় নজরুল ইসলাম পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।তার বাড়িতে একটি ছোট্ট মুদিখানার দোকানও রয়েছে।শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত নজরুলের দোকানে চাল বিক্রি করতে যায় বছর দশের ওই কিশোরী।কিশোরীকে একা পেয়ে দোকান ঘরের মধ্যেই নজরুল ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।কিশোরীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি জানতে পারে কিশোরীর পরিবার।সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ওই কিশোরীকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আশঙ্কা জনক অবস্থা দেখে চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী।