মালদাঃ-পুজোর মরশুমের আগে মালদা শহরের যানজট এড়াতে বিভিন্ন রুটে ভাগ করে টোটো চলাচলের রূপরেখা তৈরি করার উদ্যোগ নিল জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। এমনকি টোটো চালকদের প্রশাসনের দেওয়া আই কার্ড এবং গাড়িতে স্টিকার লাগানোটা বাধ্যতামূলক করতে হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ , প্রশাসন এবং আরটিও দফতরের কর্তাদের নিয়ে এবিষয়ে এক প্রস্তর বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতিপ্রাপ্ত মালদা শহর এবং পার্শ্ববর্তী গ্রাম অঞ্চল এলাকার টোটো শুধুমাত্র ইংরেজবাজার পুরোসভা এলাকায় চলাচল করবে। বাইরে থেকে আসা টোটো চলাচলের ওপর নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ জারি করছে প্রশাসন। এরফলে শহরের যানজট সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে বলেও জানিয়েছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ওসি বিটুল পাল জানিয়েছেন, মালদা শহরে টোটো চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি রুট ভাগ করে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে যানজটের পরিবেশ অনেকটাই মিটবে । শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় চেক পয়েন্ট তৈরি করা হবে। যেখান দিয়ে দূরদূরান্তের গ্রামীণ এলাকার টোটো প্রবেশ করে। বিশেষ কার্যক্ষেত্র ছাড়া বাইরে টোটো শহরে কোন রকম ভাবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পুজোর আগে মালদা শহরের যানজট সমস্যা সমাধানে আপাতত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইংরেজবাজার পুরসভার এবং জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা শহরে ২,৫০০ টোটো চলাচলের নির্দেশ থাকলেও বর্তমানে শহরে টোটোর সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি । এছাড়াও যত্রতত্র টোটোর বেআইনি পার্কিংয়ের ফলে যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে শহরের মধ্যে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ওসি বিটুল পাল জানিয়েছেন, মালদা শহরের কোন রুটে কতগুলি টোটো চলবে, সেটা জেলা পুলিশ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা টোটো চলাচলের রুট করে দিবো। তার বাইরে অবাঞ্চিত ভাবে কোন টোটো শহরে চলাচল করতে পারবে না। শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথ যেগুলো রয়েছে, সেখানেও চেকপোস্ট তৈরি করা হবে। যাতে বাইরের অবাঞ্চিত টোটো শহরের মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে। প্রতিটি টোটো চালককে প্রশাসনের দেওয়া আই কার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং গাড়িতে স্টিকার লাগাতে হবে। পুজোর সময় যাতে শহরের মানুষ যানজটের জেরে দুর্ভোগের শিকার না হন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া