একেই নিজভূমে পরবাসী অবস্থা গ্রামবাসীদের । তার উপরে এবারে বিএসএফের বিরুদ্ধে অলিখিত ফতোয়া জারির অভিযোগ । আর বিএসএফের এমন অলিখিত ফতোয়ার জেরেই সমস্যায় পড়েছে আস্ত একটি গ্রাম। বালুরঘাট ব্লকের অমৃত খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত গ্রাম ভুলকিপুরের একটা অংশ রয়েছে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে। ওই গ্রামে সব মিলিয়ে প্রায় 400 বাসিন্দা রয়েছে। সীমান্ত গ্রামগুলির নিয়ম মেনেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কাঁটাতারের বেড়া পার করে যাতায়াত করতে পারে বাসিন্দারা। কিন্তু এদিন উলটপুরান ছিল ওই এলাকায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে বাধা না থাকলেও মহিলাদের একেবারেই গ্রাম বন্দি করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিন কোন মহিলাকেই ওই সীমান্তের কাঁটাতারের গেট পার হয়ে আসতে দেওয়া হয়নি। ওই গ্রামে কোন দোকান না থাকায় গ্রামবাসীরা এপারেই তাদের সামগ্রী কিনতে আসে। এছাড়াও কাজ কর্মের জন্য এপারেই তাদের আসতে হয়। কিন্তু এদিন সকাল থেকেই মহিলাদের আটকে দেওয়ায় তারা পরে ব্যাপক হয়রানিতে। শুধু তাই নয় এ দিন শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমস্যায় পড়ে । বিএসএফের স্থানীয় বিওপি থেকে ক্যাম্প পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার ছোটাছুটি করেও ওই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপরের ভুলকিপুর গ্রামে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। বিএসএফ এর এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিক বলেন সম্প্রতি ওই গ্রামের কিছু মহিলার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচার এর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা বিএসএফ কর্মীর অভাব। তাই তল্লাশি ছাড়া কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। তাই কাউকেই এপারে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
ভুলকি পুর এলাকার বাসিন্দা অমল বর্মন বলেন আচমকা এদিন সকাল থেকে মহিলাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছে বিএসএফ ।তাদেরকে গ্রাম বন্দি করে রেখেছে। কারণ জানতে চাইলেও কোন কিছু জানাচ্ছে না বিএসএফ।
স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সুকান্ত হাসদা বলেন, এদিন শেষদিনের প্রচারে আমরা ব্যস্ত রয়েছি ।কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ার ওপরের ভুলকিপুরের মহিলাদের বিএসএফ কোন কাজেই এপারে আসতে দিচ্ছে না। এর জন্যে তাদের প্রবল হয়রানি হতে হচ্ছে। মূলত বিএসএফের লেডি কনস্টেবল না থাকার কারণেই নাকি এমন সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তার জন্য গ্রামবাসীরা কেন হয়রান হবে তার জবাব কে দেবে। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।