পরিযায়ী শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য

পরিযায়ী শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য।ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে ধূপগুড়ি ব্লকের কালীরহাট বাশেরডাঙ্গা এলাকায়।মৃতের নাম ভাস্কর রায়(১৮)।জানা যায় এদিন দুপুর নাগাদ নিজের বাড়ির একটি ঘরে তার গলায় ওড়না জড়ানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।পরিবারের লোকের দাবি ভাস্কর সকাল থেকে বাড়ির পাশেই মামার বাড়িতে গিয়েছিল,সেখানে তার মামাকে ভাস্কর কাজের কথা জানায়। পরিবারের সুত্রে জানা যায় বেশ কিছুদিন আগেই কেরল থেকে লকডাউনের কারনে কাজ না থাকায় বাড়িতে ফিরে আসে।বাড়ি ফিরে এসে কখনো রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে আবার কখনো ইলেক্ট্রিসিটি কর্মীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করত।কিন্তু সম্প্রতি কাজ মিলছিল না, যার ফলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিচ্ছিল বলে জানায়।মামার সঙ্গে কাজে নেওয়ার কথাও বলে ঐ যুবক।যদিও তার মামা ভাস্করকে জানায় এই মুহুর্তে কাজের তেমন খোজ নেই।এরপর ঐ যুবক বাড়িতে ফিরে আসে এবং একটি ঘর ঠিকঠাক করার কাজ শুরু করে দেয়।কিছুক্ষন পর হঠাৎই দেখা যায় তার ঘরের দরজা বন্ধ।পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করলে সাড়া না মেলায় ঘরের ঢুকে দেখা যায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে তার দেহ।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।দেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।
মৃতের মামা জানায় ভাগ্নে কেরলে থাকত।সেখানে মিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করত।কিছুদিন আগে ফিরে আসে কাজ না থাকায়।আজকেই কাজের বিষয়ে জানায়।পাশাপাশি এও বলে এই মুহুর্তে হাতে কাজ নেই, টাকাও নেই।

উল্লেখ্য ভাস্কর রায়ের পরিবারে দুই ভাই এবং বাবা মা বর্তমান।আর্থিক পরিস্থিতির সামাল দিতে বাবা নালু রায়ের সঙ্গে ভাস্করও কেরলে কাজে গিয়েছিল।অনুমান আর্থিক অবস্থার জেরে এই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে অনুমান।তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *