কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সদস্য তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করতেই তৃনমূলের মধ্যেই শুরু হয়েছে অন্তর্কলহ। ক্ষোভ উগড়ে পড়ল একেবারে জাতীয় সড়কে।কেই এই বিক্ষোভ তা ব্লক সভাপতি মানিক দাস কিছুই জানেন না।
জানা গেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদ প্রায় পাঁচ শতাধিক কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মঙ্গলবার ব্লক সভাপতি মানিক দাসের হাত ধরে তৃনমূলে যোগদান করেন।এতেই শুরু হয়েছে তৃনমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কন্দল।তাই বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাসের পদত্যাগ চেয়ে তুলসীহাটা ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে চাঁচলগামী ৮১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান হরিশ্চন্দ্রপুর তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রায় দুই শতাধিক তৃনমূল কর্মী ও সমর্থক এই বিক্ষোভ মিছিলে সামিল ছিলেন বলে জানা যায়।
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ সভাপতি মানিক দাস কর্মীদের অন্ধকারে রেখে একের পর এক দল বিরোধী কাজ করে চলেছে। দলের কোনো নেতৃত্ব ও অঞ্চল কমিটিকে না জানিয়ে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃনমূলে যোগদান করিয়েছে। অথচ যোগদান কর্মসূচি দলের কেউ জানেন না।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মানিক দাস একসময় কংগ্রেস দলের একনিষ্ঠ নেতা ছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করতেই তাকে সাংগাঠনিক ভাবে ব্লক সভাপতি করা হলেও দলের কাউকে সে পাত্তা দেই না। এমনকি তার নামে একাধিক কাটমানির অভিযোগও রয়েছে।বাংলা আবাস যোজনা ঘর দেওয়ার নাম করে কাটমানি,ভাতা করে দেওয়ার নাম করে কাটমানি প্রভৃতি।মানিক দাসকে দলের কেউ সভাপতি মানছেন না।দল বিরোধী সভাপতি তারা চাই না। শিঘ্রই পদত্যাগ না করলে এই ধরনের বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃনমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রুস্তম আলি জানান, সভাপতি মানিক দাস একের পর এক দল বিরোধী কাজ করে চলেছে। মঙ্গলবার দলের কাউকে না জানিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস দলের দুর্নীতিগ্রস্ত পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদকে তৃনমূল দলে যোগদান করিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মীরা কখনো মেনে নিবে না। মহম্মদ মুজাহিদদের নামে একাধিক কাটমানির অভিযোগ রয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে কাটমানি, বাংলা আবাস যোজনা ঘর দেওয়ার নাম করে কাটমানি তুলে রেখেছে। এখন সে বাঁচার পথ খুঁজছে।
অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদ জানান তার বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। রুস্তম আলির পরিবারের সঙ্গে একটা দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিবাদ রয়েছে বলেই এই ধরনের অভিযোগ তুলছে।
সভাপতি মানিক দাস জানান যোগদান কর্মসূচির ব্যাপারটি জেলা কমিটিকে জানানো হয়েছে।যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জেলা কমিটি নিবে।তার বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে জানান।