জলপাইগুড়িতে শিশু চিকিৎসায় বাড়লো শয্যার সংখ্যা। পাশাপাশি চিকিৎসাধীন শিশুদের মায়েদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলো।
এবারে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন শিশুদের মায়েদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন কর্তব্যরত নার্স। এমনই অভিযোগ আনলেন এক শিশুর বাবা।
ধূপগুড়ি ময়নাতলি এলাকার বাসিন্দা নবিউল আলমের সদ্যোজাত শিশুপুত্র জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
নবিউল বাবু অভিযোগ করেন তার মাস দেড়েকের ছেলের গত দু দিন আগে খুব শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের সেখান থেকে জলপাইগুড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর জলপাইগুড়ি শিশু বিভাগ তার পুত্র সন্তানকে ভর্তী করে নেওয়া হয়। তখন থেকে তার সদ্য স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। সেই সময় তার স্ত্রীকে বিভিন্ন বেবি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের দ্বারা দুর্ব্যবহার ও গঞ্জনার শিকার হতে হয়েছে।
দুর্ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে আমরা টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলাম হাসপাতালের নার্সিং সুপার কাকলি সিনহার সাথে। উনি জানান এই ধরনের কোনও অভিযোগ তার কাছে আসেনি। এলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিশু রোগীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে আরও ৪০ টি বেড বাড়ানো হয়েছে। ফলে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে বর্তমানে শিশুদের চিকিৎসার জন্য শয্যার সংখ্যা দাড়ালো ১৪৫ টিতে। নতুন করে শিশু ভর্তী হয়েছে ৩৯ জন। বর্তমানে ১০৯ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুজন কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে একটা বড় অংশ শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন। যাদের বয়স এক তিন বছরের মধ্যে। এদের চিকিৎসা চলছে। কোনও মৃত্যুর খবর নেই।
অপরদিকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আধিকারিক ডাক্তার সুশান্ত রায়কে স্মারকলিপি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যরা।
অন্যদিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন যাদের প্রচন্দ শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে। তাদেরই রেফার করা হচ্ছে। আজকে দুইজন কে রেফার করা হয়েছে। বাচ্চাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট সমস্যার জন্য তিনি আর এস ভি ভাইরাস সংক্রমণের কথা উল্লেখ করে বলেন এর জন্য বাড়ির লোকদের সরর্ক থাকতে হবে। বাচ্চাকে ধরার আগে ভালভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়ির সকলকে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে। কারন মাস্ক ব্যাবহার করলে শুধু করোনা নয় অন্য অনেক ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারেনা বলে জানান তিনি।