৩০ বছরের বন্ধুত্ব। জুবিন সম্পর্কে ‘অতীতকালে’ লিখতে হবে ভাবতে পারছি না। সুরের জগতের ক্ষতি তো বটেই আমি আমার একজন ভালো বন্ধু হারালাম। শুধু কি তাই? শুক্রবার বিকেলে যখন জুবিনের মৃত্যুসংবাদ আমি পেলাম তখন স্টুডিওতে আমি ওরই গান মিক্সিং করছি। সোহম চক্রবর্তীর নতুন একটি ছবি ‘সে তো আজও বোঝে না’-এর জন্য নতুন একটা গান জুবিনকে দিয়ে গাইয়েছিলাম। স্টুডিওতে আজ যখন সেটা নিয়ে আমি ব্যস্ত তখনই ওর মৃত্যুসংবাদ এসে পৌঁছাল। আচম্বিতে এমন খবরে আমি রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যাই। এ খবর সহজে মেনে নিতে পারিনি। মাত্র চার দিন আগেই আমাদের কথা হয়েছিল।
আমার আর জুবিনের জুটি ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিহাস তৈরি করেছিল। ‘পিয়া রে’, ‘মন মানে না’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘আয়না মন ভাঙা আয়না’র মতো গান এক একটা ইতিহাস তৈরি করেছে একসময়। আমি আমার প্রণের বন্ধুকে হারালাম। এইরকম মানুষ এইরকম শিল্পী আর কখনও আমরা পাব না। আমার সঙ্গে ফোনে প্রায়ই কথা হত। তবে ও যেহেতু অসমে থাকত তাই খুব একটা দেখা হত না। ওর আসা যাওয়াও কমে এসেছিল এখন। একবার আমাকে অসমে ডেকেছিল নতুন গান রেকর্ডিংয়ের জন্যও। সেখান থেকে ফিরে এসে আমি ওকে একটা গান পাঠালাম। জিজ্ঞেস করলাম, “একটা গান রয়েছে জুবিন, তুই গাইবি?” জুবিন সঙ্গে সঙ্গে বলল, “হ্যাঁ, নিশ্চয়ই গাইব।” আমাকে গানটা পাঠাতে বলল। আমি গানটা পাঠাতেই আনন্দের সঙ্গে বলে উঠল “কি দারুণ গান তৈরি করেছিস জিৎ। আমি গেয়ে তোকে পাঠাচ্ছি।” আমরা ভিডিও কলে গান রেকর্ড করলাম।