সব জায়গায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। কিন্তু জলপাইগুড়ি শহরের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উর্দ্ধমূখী কেন? এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। অবশেষে সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের নির্দেশে জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসল। শুক্রবার পুরসভায় বৈঠকটি হয়। এদিনের বৈঠকে সদর মহকুমা শাসক সুদীপ পাল, পুলিশ অফিসার ও দিন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা ছিলেন। পুরসভার তরফে চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সন্দীপ মাহাতো, সৈকত চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য উঠে এসেছে শহরের ছয়টি ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা উর্দ্ধমূখী। ওয়ার্ড গুলি হল ১,২,২০,২১,২৪ ও ২৫। এই ওয়ার্ড গুলি ধরে ধরে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করার প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হলে কি ধরণের সমস্যা হতে পারে এবং সেই সমস্যা সমাধান কিভাবে করা যাবে তা নিয়ে আলোচলা করা হয়। অন্যদিকে বাজারের ভিড় এড়াতে জোড় দেওয়া হচ্ছে। দিন বাজারের দোকান ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিভাবে বসানো যায় তা নিয়ে চলছে আলোচনা। আগামীকাল থেকে শহর জুড়ে মাইকিং করে জানানো হবে প্রশাসনের নির্দেশ।
পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, সব জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। আমাদের শহরের আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না। এই কারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করতে হবে।