দিনহাটা বিজেপি সভাপতি অমিত সরকার এর মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়

কোচবিহার:-নির্বাচন শুরু হতেই ফের খবরের শিরোনামে দিনহাটা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে রাজনৈতিক হত্যালীলা আবার কি শুরু হল? বুধবার দিনহাটা শহর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি অমিত সরকার (৫০) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপি কার্যালয়ের লাগোয়া পশু চিকিৎসালয়ের বারান্দা থেকে তাঁর গলায় ফাঁস লাগা দেহ প্রাতঃভ্রমণ কারীরা দেখতে পান। তাঁকে হত্যা করে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনহাটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে বাধা বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি রাজ্য কমিটির নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তিনি হুংকার দিয়ে বলেন, ‘দিনহাটার বুকে বিজেপির একটি ছেলে মেয়ের গায়ে হাত পড়লে সমস্ত দায়ভার পুলিশের থাকবে। দেহ উদ্ধার করতে বাধা দিয়ে বিজেপি কর্মীরা সরাসরি খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন।’ সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তাঁর মোবাইল ফোনটি এই মুহূর্তে মিসিং রয়েছে। কি কারণে তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, এটি পরিকল্পিত ভাবে খুন হয়েছেন।একই সাথে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক। বিজেপি যদি মনে করে অন্য কোন তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে ঘটনার তদন্ত হবে , তবে তাই হোক। যতটুকু জানা গেছে রাত বারোটা সাড়ে বারোটা নাগাদ ভেটাগুড়ি থেকে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন, খাওয়া দাওয়া করেছেন, তারপরে কার ডাকে বেরিয়ে গেল এটা দেখা দরকার। অপরিচিত হলে নিশ্চয়ই তিনি বের হতেন না। তাই তদন্তের স্বার্থে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *